Tags: ইউক্রেন, জাতিসংঘ, যুদ্ধ, রাশিয়া
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণার পর ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। এ অভিযানের চতুর্থ দিনে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় লড়াই চলছে রুশ ও ইউক্রেনীয় সেনাদের।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয় সমন্বয় কার্যালয় ওসিএইচএ সংস্থাটির মানবাধিকার দপ্তরের বরাত দিয়ে ইউক্রেনে হতাহতের সংখ্যা জানিয়েছে। যেকোনো সংঘাতে নিহত ও আহত ব্যক্তির সংখ্যা নিরূপণে যাচাই ও প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কোনো ফাঁকফোকর রাখে না মানবাধিকার দপ্তর।
ওসিএইচএ আরও জানায়, অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় হাজারো মানুষ পানি, বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এটি ইউক্রেনজুড়ে (বিশেষত উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চল) ‘মানবিক বিপর্যয়কর’ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে অন্তত ২৪০ জন বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে জাতিসংঘ। আন্তরাষ্ট্রীয় সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের মধ্যে অন্তত ৬৪ জন নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ মনে করছে, হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে বেশি হতে পারে। কারণ অনেক জায়গায় হতাহতের খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এমন অনেক লোকের সঙ্গে কথা বলেছে যারা ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইনে আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করার জন্য কয়েকদিন ধরে অপেক্ষা করছেন।
এদিকে জার্মানির আকাশসীমায় রাশিয়ার বিমান প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জার্মান বিমান সংস্থা লুফথানসার একজন মুখপাত্র বলেছেন, ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে অবিলম্বে রাশিয়ার আকাশসীমা এড়াবে জার্মানি। বিমান সংস্থাটি বলেছে, তারা রাশিয়ান গন্তব্যে আর বিমান পরিচালনা করবে না।