Tags: টেস্ট ক্রিকেট, বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা
দক্ষিণ আফ্রিকাকে বড় সংগ্রহ করতে না দেওয়ার আনন্দ মুখ থেকে মুছে যেতে বেশিক্ষণ লাগেনি বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে চোখের পলক ফেলতেই নেই তাদের টপ-অর্ডারের তিন উইকেট!
যেখানে ছিল ইতিহাসের হাতছানি, সেখানে এখন টাইগারদের ডারবান টেস্টের পঞ্চম ও শেষদিন লড়তে হবে ম্যাচ বাঁচাতে। ভাগ্য ভালো যে, গতকালকের মতো আজকেও আলোকস্বল্পতার কারণে আগেভাগে ম্যাচ শেষ হয়েছে।
নয়তো চতুর্থদিনের শেষ মুহূর্তে বধ্যভূমি হয়ে ওঠা কিংসমিডের পিচ প্রোটিয়া স্পিনারদের আরও এক-দুই উইকেট উপহার দিত না কী বিশ্বাস! দিন শেষের আগে বাংলাদেশ যে ৬ ওভার ব্যাট করল তাতে ১১ রান করতেই সফরকারীদের হারাতে হয়েছে ৩ উইকেট। জয়ের জন্য টাইগারদের দরকার আরও ২৬৩ রান।
দ. আফ্রিকার মাটিতে ওয়ানডের মতো টেস্টেও প্রথম জয় পেতে হলে শেষদিনে বিস্ময়কর কিছু করতে হবে সফরকারীদের। তার জন্য দিনের শুরু থেকে বড় জুটিই গড়তে হবে দুই অপরাজিত ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত (৫) ও মুশফিকুর রহিমকে (০)।
তৃতীয় সেশনে দ. আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংস থামে ২০৪ রানে। টাইগারদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৭৪ রান। ধরতে গেলে, একদিনের জন্য তেমন বড়ও নয় এই লক্ষ্য। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে যেন মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিলেন টাইগাররা। সাইমন হার্মারের ‘জুজুর ভয়’ জয় করা হলো না শাদমান ইসলামের। এবার টাইগার ওপেনার ফিরলেন শূন্য হাতে। প্রথম ইনিংসেও মাত্র ৯ রান করে প্রোটিয়া স্পিনারের ঘূর্ণিতে কাবু হয়েছিলেন তিনি।
তার দেখাদেখি কেশব মহারাজার বলে বোল্ড আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় (৪)। প্রথম ইনিংসে তার সেঞ্চুরিতে লজ্জার হাত থেকে বেঁচেছিল টাইগাররা। দিনের শেষ মুহূর্তে প্রোটিয়া স্পিনারের ঘূর্ণিতে ঘায়েল মুমিনুল হকও (২)। এবার অবশ্য রানের খাতা খুলতে পেরেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। দলীয় ৪, ৬ ও ৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে দিন পার করল বাংলাদেশ।
তার আগে দারুণ বোলিং-ফিল্ডিংয়ে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছিল টাইগাররা। প্রথম সেশনে ব্যর্থ হলেও পরের দুই সেশনে বাংলাদেশের শিকার ৯ উইকেট। তার মধ্যে মেহেদি হাসান মিরাজ ও এবাদত হোসেন উইকেট ভাগাভাগি করলেন তিনটি করে।
প্রোটিয়া ব্যাটারদের মধ্যে কেবল অধিনায়ক-ওপেনার ডিন এলগার (৬৪) যা একটু মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের জন্য। মধ্যাহ্নভোজ থেকে ফিরেই তাসকিন আহমেদ এলডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তাকে। তবে মিডল-অর্ডার ব্যাটার রায়ান রিকেলটনের অপরাজিত ২৯ রান প্রোটিয়াদের দুইশ’ পেরোনো স্কোর এনে দেয়।