Tags: বগুড়া, শেরপুর, সয়াবিন তেল
বগুড়ার শেরপুরে ফকির অয়েল মিলের গুদামে অবৈধভাবে মজুদ করে রাখা ৩১ হাজার ৮ লিটার সয়াবিন তেলের সন্ধান পেয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে তেল মজুদ রাখার দায়ে ওই ব্যবসায়ীকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেইসঙ্গে অবৈধভাবে মজুদ রাখা তেল সরকার নির্ধারিত দামে ক্রেতা সাধারণের নিকট বিক্রির নির্দেশ দেন আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ মে) রাত সাড়ে দশটার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা শারমিন এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে একইদিন বেলা পাঁচটার দিকে শহরের হাটখোলা এলাকাস্থ ফকির এন্টারপ্রাইজের মালিকানাধীন তেলের মিলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীর নাম আনোয়ার হোসেন ফকির। তিনি শহরের হাটখোলা রোডের বাসিন্দা বেলাল ফকিরের ছেলে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও শেরপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা শারমিন বলেন, ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বিপুল পরিমাণ সয়াবিন তেল মজুদ করে রেখেছেন গোপনে এমন সংবাদ পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। প্রথমে তার বিপনণ কেন্দ্রে যাই। সেখানে কোনো সয়াবিন তেল পাইনি। পরে তার মিলের গুদামঘর পরিদর্শন করতে চাইলে তিনি বলেন, তার গুদামে শুধু পামওয়েল আছে, সয়াবিন তেল নেই। পরে তার গুদামে অভিযান চালিয়ে ১৫২ ব্যারেল ( প্রতিটিতে ২০৪ লিটার) সয়াবিন তেল পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।
ওই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও বলেন, ‘পরে ওই ব্যবসায়ী তার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান। তিনি এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে গুদামে অবৈধভাবে তেল মজুদ করে আসছিলেন। এতে স্থানীয় বাজারে তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়।’ সরকার নির্ধারিত দামে তেল বিক্রির অঙ্গীকার করাসহ নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন উল্লেখ করে তিনি জানান, ‘এ কারণে ওই ব্যবসায়ীর তেল জব্দ করা হয়নি বলে জানান ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও এসিল্যান্ড সাবরিনা শারমিন।