Tags: গ্রেফতার, মোহনপুর, রাজশাহী
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলার প্রধান আসামী পাষণ্ড স্বামী শিমুল হোসেনকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। শনিবার (২১ মে) আনুমানঃ বিকাল ২টার দিকে দুর্গাপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মোহনপুর থানার ওসি’র কর্ম তৎপরতায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে এ মামলার ১নং পলাতক আসামী কে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সাত মাস আগে মোহনপুর উপজেলার বাকশিমইল গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে শিমুলের সাথে একই উপজেলার
২নং ঘাসিগ্রাম ইউনিয়নের ঘাসিগ্রাম গ্রামের মাজেদুল ইসলাম মৃধার মেয়ে কারিমা আক্তার মিমের (১৯) বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের টাকার জন্য শাশুড়ি সহ-স্বামী হর হামেসায় মানসিক ও শারীরিক ভাবে প্রায় নির্যাতন করা হতো।
গত শুক্রবার (২০ মে) বিকালে কারিমাকে স্বামী এবং শাশুড়ি মিলে মারধোর চালায়। তারপর অবস্থা বেগতিক দেখে গলায় ফাঁস নেয়ার অপপ্রচার চালিয়ে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসা হয়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক কারিমাকে মৃত ঘোষনা করেন। এরপর হাসপাতালে মরদেহ রেখে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন কৌশলে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্যে পাঠায়।
এ মামলার তদন্ত কারী অফিসার এস আই আলহাজ্ব জানান, নিহতের পিতা বাদী হয়ে ৩ জন আসামীর নাম করে উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মোহনপুর থানার মামলা নং- ১২ তারিখঃ ২১/০৫/ ২০২২ ইং। এটা হত্যা না আত্মহত্যা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন- পি এম, পোসমাডাম রিপোর্ট ছাড়া সঠিকভাবে কিছুই বলা সম্ভব হচ্ছে না।
মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম ডেইলি নববার্তাকে জানান, বিশেষ অভিযান চালিয়ে এ মামলার প্রধান আসামী শিমুল কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এতো দ্রুত সময়ে কি ভাবে এক জন পলাতক আসামী গ্রেফতার সম্ভব হলো এমন প্রশ্নের উত্তরে জানায়, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান সনাক্ত করে। পোসমাডাম রিপোর্ট ছাড়া সঠিকভাবে কিছুই বলা সম্ভব হচ্ছে না এ হত্যা কান্ডের কারণ। তবে গলায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে রোববার (২২ মে) বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।