Tags: প্রবাসের সংবাদ, মালদ্বীপ
প্রবাসে শতভাগ কর্মব্যস্ততার মাঝে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ৮ টায় মালদ্বীপের রাজধানী মালের সী বিল্ডিং এর হলরুমে আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত হলো অমর একুশ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। পবিত্র কোরআন তেলোয়াত শেষে অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা-আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফিরাতের জন্য এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
অমর একুশের অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় ছিলেন- এম কেআর কামাল হোসেন (সাংগঠনিক সম্পাদক মালদ্বীপ আওয়ামী লীগ) শুভেচ্ছা বক্তব্যে নুরে আলম রিন্টু বলেন- প্রাণটা জুড়ে যায় যখন শুনি গ্রাম বাংলার গান, মন ভরে যায় যখন প্রাণ খুলে কথা বলি মায়ের ভাষায়, গর্বে বুকটা ভরে উঠে তাদের জন্য, যারা জীবন দিয়েছে ভাষা’র তরে।
উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন- মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ দুলাল মাতবর। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ কমিউনিটি ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মালদ্বীপ আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা মণ্ডলী মীর সাইফুল ইসলাম মাষ্টার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক দুলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান, সিনিয়র-সভাপতি মোহাম্মদ সাদেক, সহ-সভাপতি শাহজালাল শিকদার, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রাজু, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মালদ্বীপ ন্যাশনাল ব্যাংক এর ডিরেক্টর মোহাম্মদ হান্নান খান কবির, সাবেক এনবিএল মানিট্রান্সফার মালদ্বীপ প্রাইভেট লিমিটেডে এর সিইও মোহাম্মদ কাশেদুল হক, মোহাম্মদ সফিক মাস্টার, বিশিষ্ট ব্যবসায়িক হাদিউল ইসলাম, বাবুল হোসেন, কাওছার আহমেদ, মজিবুর রহমান, মনির হোসেন, মোহাম্মদ সবুর তালুকদার।
অনুষ্ঠানে বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন- বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের সময় শেখ মুজিব কারাগারে বন্দি ছিলেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৫০ সালে গ্রেফতার হন। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকার রাজপথে গুলি হয়। সালাম, বরকত, জব্বারসহ অনেক শহীদ হন। বঙ্গবন্ধু তখনও বন্দি। বন্দি থাকা অবস্থায়ও ছাত্রদের সাথে সবসময় তাঁর যোগাযোগ ছিল। তিনি যোগাযোগ রক্ষা করতেন এবং আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য ছাত্রসমাজকে উদ্বুদ্ধ করতেন।
বস্তুত, জেল থেকেই তিনি তাঁর অনুসারী ছাত্র নেতাদের গোপনে দিক নির্দেশনা দিতেন। শুধু তাই নয়, তিনি জেল থেকেই রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটির সাথে যোগাযোগ রাখতেন এবং তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে নির্দেশনা দিতেন। বাঙালির হাজার বছরের রাজনীতির আকাশে সবচেয়ে উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। চিরকালের উপেক্ষিত বাঙালি তাঁর নেতৃত্বেই ইস্পাতকঠিন ঐক্যে সংঘবদ্ধ হয়েছে এবং লাভ করেছে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম মানচিত্র ও গৌরবদীপ্ত পতাকা।
নীল দরিয়া শিল্পগোষ্ঠী দারা অমর একুশের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উক্ত অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।