পরিবেশ আইন অমান্য করে কৃষি জমির (টপসয়েল) ইটভাটা ও পুকুর খননকারীদের অবৈধ ট্রাক্টর-ট্রলি মাত্রাতিরিক্ত মাটি বহনের কারণে রাজশাহীর পুঠিয়া-তাহেরপুর,ভবানীগঞ্জ আঞ্চলিক সদ্য নির্মিত সড়ক ধ্বংসের মূখে পড়েছে।
বাগমারা উপজেলা ও তাহেরপুর পৌরসভা প্রকৌশল বিভাগ বলছেন, সড়কের অবকাঠামো না জেনে অবৈধ ওই গাড়ির মালিকরা তাদের ইচ্ছেমত মাটি বা ইট পরিবহণ করছেন। যার করণে সংস্কার বা নির্মাণ করার বছর শেষ না হতেই সড়ক পূর্বের রুপ ধারণ করছে। জানা যায়,উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আরো প্রায় এক ২শ’ পুকুর খনন কাজ চলছে।
বর্তমানে উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের রামারামা গ্রামেতে ইটভাটা ও পুকুর খননকারী মালিকদের পরিবহন কাজে নিয়োজিত প্রতিদিন প্রায় ৪০-৫০টি ট্রলি কাঁকড়া গাড়ি চলাচল করছে। আর এ কাঁকড়া গাড়ির কয়েকটি তাহেরপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে অবস্থিত তাহেরপুর ডিগ্রি কলেজের ২টি পুকুর ভরাট কাজে সারারাতে ব্যবহার হচ্ছে। যার ফলে সরকারের সদ্য নির্মিত দেড় শ’ কোটি টাকার রাস্তাসহ পৌরসভার ২টি রাস্তায় ট্রাক থেকে মাটি পড়ে ধুলোবালির স্তুপ জমে যাওয়ায় ওই সব রাস্তা দিয়ে মোটর সাইকেল ও যানচলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে।
অভিযোগ উঠেছে বর্তমান বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও তার সিও যোগদানের পর থেকে ইটভাটা ও পুকুর খননকারী চক্র তাদেরকে হাত করে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করে যাচেছ। যেনো দেখার কেউ নাই। একটি সুত্র জানায়,প্রতিবছর বছরের প্রথম মাস জানয়ারী থেকে শুরু করে জুন জুলাই পর্যন্ত এই ট্রাক থেকে মাটি পড়ে ধুলোবালির স্তুপ জমে যাওয়ায় ওই সব রাস্তা দিয়ে যানচলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। যানবাহন গুলোর চলাচল সবচেয়ে বেশী।
অপরদিকে, পরিবেশ আইন অনুযায়ী কৃষি জমির মাটি কাটা দ-নীয় অপরাধ। আর জমির শ্রেণি পরিবর্তন না করে পুকুর খনন করাও দ-নীয় অপরাধ। এতো কিছুর পরেও সচেতন মহলের অভিযোগ, বাগমারায় প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে এলাকার রাস্তাঘাটের বেহাল দশা ও পরিবেশের উপর মারাত্মক হুমকি দেখা দিয়েছে। ১৯৮৯ সালের ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রন আইন অনুযায়ী কৃষিজমির টপসয়েল বা উপরিভাগের মাটি কেটে শ্রেণি পরিবর্তন করাও সম্পূর্ন নিষিদ্ধ। দুই আইনে শাস্তির বিধান একই রকম। এসব কাজে জড়িত ব্যক্তিদের জেল জরিমানার বিধান রয়েছে। আবার একই কাজ দ্বিতীয় বার করলে দায়ী ব্যক্তির ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা ও ১০ বছরের কারাদ- হবে।
আঞ্চলিক সদ্য নির্মিত সড়ক ধ্বংসের মূখে মাটি ফেলে নষ্ট করে চলাচলের অযোগ্য ও দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা হয়ে উঠেছে। স্থানীয় ভাবে কাঁকড়া নামীয় এসব ট্রাকের অবাধ চলাচলের কারণে উপজেলা সদ্য নির্মিত রাস্তাগুলো ভেঙ্গে চুরে একাকার হয়ে গেছে। এছাড়া ওই সব ট্রাক থেকে মাটি পড়ে ধুলোবালির স্তুপ জমে যাওয়ায় ওই সব রাস্তা দিয়ে যানচলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। যার কারনে প্রতিদিন দু একটা দুর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে।