বরগুনা জেলা পুলিশের সিআইডিতে কর্মরত এক পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার গ্রামের বাড়িতে স্ত্রীর দাবিতে অনশনে করছেন দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক তরুণী। এ তরুণীর গ্রামের বাড়ি গাজীপুরে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য সোহেল রানার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের রূপসাগর নারায়ানসার এলাকায়।
বর্তমানে তিনি বরগুনা পুলিশের সিআইডি বিভাগে কর্মরত। অনশনরত ওই তরুণী জানান, তিনি পুলিশ সদস্য সোহেল রানার পঞ্চম স্ত্রী ও দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। গত দশ বছর আগে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে লেখা-পড়া করার সময় সোহেল রানার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়।
তিনি আরো জানান, গত ১৩ মাস আগে ঢাকা রামপুরা কাজী অফিসে আমাদের দুই লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন হয়। তখন সোহেল রানা জয়পুরহাট জেলায় চাকরি করত। বিয়ের পর আমরা জয়পুরহাটে বসবাস করতাম। সেখান থেকে বদলী হয়ে ঢাকায় পরে বরগুনা জেলায় এসে গত দুই মাস ধরে ভাড়া বাসায় একসাথে থেকেছি।
গত ২৬ এপ্রিল সোহেল রানা এই নারীকে ঢাকায় একা ফেলে চলে আসে। পরে তাকে ডাকযোগে সোহেল রানা তালাক নামা পাঠান। এ বিষয় নিয়ে এ নারী বরগুনা সিআইডি নিকট একটি অভিযোগ দিয়ে গতকাল শুক্রবার সোহেল রানার বরগুনা ভাড়া বাসায় অবস্থান নেন।
বরগুনা সিআইডির পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার ডেইলি নববার্তাকে জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।