পটুুয়াখালীর সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের চান্দখালী গ্রামে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক ৫ম শ্রেনির ছাত্রী (১২)। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সোমবার ৪ই এপ্রিল পটুুয়াখালী সদর থানায় দুই জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন মোঃ বারেক জোমাদ্দারের ছেলে আল-আমিন জোমাদ্দার (৩০) ও সহযোগী তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৭)। ভিকটিম উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের ডাকুরবুনিয়া প্রাইমারী স্কুলের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ সে মার্চ উপজেলার নিজ গ্রামের বাড়িতে ওই শিক্ষার্থী এক সহপাঠীকে নিয়ে বসা ছিলেন। এসময় সেখানে আলামিনের স্ত্রী এসে ঐ দুই শিক্ষার্থীকে মাছ কাটার কথা বলে তাদের বাড়ি ডেকে নিয়ে বলে আমার বাচ্চা হবে তাই আমার স্বামির সাথে তোমাদের শুতে হবে ও বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখায়।
এই কুপ্রস্তাবে দুই শিক্ষার্থী রাজি না হলে দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে আলামিনের স্ত্রী ফাতিমা ভিকটিমের দুই হাত ধরে রাখে এবং আলাআমিন মুখে গামছা চেপে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
এ সময় ভিকটিমের সঙ্গে থাকা পার্টীকে জোর করে কাপড় খোলার চেষ্টা করে সহপাঠী নিজে আত্মরক্ষা করে এবং দৌড়ে গিয়ে ভিকটিমের বাড়িতে গিয়ে বিষয়টা তার পরিবারকে জানায়। ভিকটিম উদ্ধার হলে পরে স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল ধর্ষণ ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে স্থানীয় সূত্রে পুলিশ খবর পেয়ে ৩/৪/০২২ তারিখ আনুমানিক রাত ১০ ঘটিকায় ভিকটিম ও তার বাবাকে পটুুয়াখালী সদর থানায় নিয়ে ৪ /৪/০২২ ইং সোমবার মামলা রুজু করে।
পটুুয়াখালীর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনির হোসেন জানান, ভুক্তভোগীর বাবা মামলা করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আর মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।