Tags: জন্মদিন, তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড়, রত্মগর্ভা রওশন আরা, শিশুস্বর্গ বিদ্যানিকেতন
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় জাবিয়ানদের দ্বারা পরিচালিত রওশন আরা মেমোরিয়াল বিদ্যানিকেতনের প্রয়াত রওশন আরার ৭০তম জন্মদিন পালন করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে দো’আ ও আলোচনা সভার আয়োজন করে শিশুস্বর্গের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক কবীর আকন্দ।
এ উপলক্ষে দুপুর ১২টায় প্রথমে কেক কাটা হয়। জুমআ নামাযের পর মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে মরহুমা রওশন আরার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দো’আ অনুষ্ঠিত হয়।
পরে গুণবতী ও রত্মগর্ভা রওশন আরার জীবনী নিয়ে বিশেষ আলোচনা সভা ও দুপুরের খাবার আয়োজন করা হয়। আলোচনায় শিশুস্বর্গ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা কবীর আকন্দ বলেন, রওশন আরা ছিলেন রত্মগর্ভা নারী। তাঁর জ্যৈষ্ঠ পুত্র রাশেদ মুজিব নোমান হিউম্যানিটি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং অগমেডিগ বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করছেন। এর পাশাপাশি তিনি হিউম্যানিটি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শিক্ষা স্বাস্থ্য পরিবেশ এবং বেকারদের কর্মসংস্থান নিয়ে কাজ করছেন দীর্ঘ সময় ধরে।
তিনি আরও বলেন, ত্রি-সীমান্ত বেষ্টিত তেঁতুলিয়ার মাগুড়া গ্রামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত শিশুস্বর্গ ফাউন্ডেশন সীমান্ত অবহেলিত শিশুদের উন্নত ভবিষ্যত গড়ার লক্ষে শিশুস্বর্গ বিদ্যানিকেতন নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিলে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন রাশেদ মুজিব নোমান। বিদ্যালয়টির নামের আগে যুক্ত করেন নিজের মায়ের নাম।
রওশন আরা মেমোরিয়াল শিশুস্বর্গ বিদ্যানিকেতন নামে পরিচিত হয়। সেই সাথে বিদ্যালয়টির স্থাপত্য থেকে শুরু করে শিক্ষক কর্মচারীদের সমুদয় বেতন ভাতাসহ স্কুলের সমুদয় খরচ বিগত পাঁচ বছর ধরে বহন করছেন। এ বিদ্যানিকেতনে পড়ালেখা করছে সীমান্তবর্তীর প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র পরিবারের সন্তানেরা পড়ালেখা করে। এ জন্য হিউম্যানিটি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফাউন্ডেশনের কাছে আমরা আজীবন কৃতজ্ঞ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাবান্ধা পাগলীডাঙী বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রওশন আরা মেমোরিয়াল শিশুস্বর্গ বিদ্যানিকতনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হুমায়ুন কবিরসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারী শিক্ষার্থীসহ এলাকার গুনীজন।