Tags: টেস্ট ক্রিকেট, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা
ডারবান টেস্টে তিন পেসার ও এক স্পিনারের একাদশে সুযোগ পাননি তাইজুল ইসলাম। তবে পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে চোটের কারণে তাসকিন আহমেদ না থাকায় ফিরলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। সারাদিন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটাররা যেভাবে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তাতে একাই লড়াই চালিয়ে গেলেন তাইজুল।
তিন উইকেট নিয়ে দিনের সেরা বোলার তিনি। ফিরিয়েছেন উইকেটে গেঁড়ে বসা ডিন এলগার, কিগান পিটারসেন ও রায়ান রিকেলটনকে। তবে শেষ সেশনে দুই উইকেট হারালেও স্বস্তি নিয়েই দিন পার করেছে প্রোটিয়ারা। প্রথম দিনে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৭৮ রান।
প্রথম সেশনে সফরকারী বোলারদের হতাশই হতে হয়েছে। টসে জিতে সাবধানে প্রথম ইনিংস শুরুর পর তরতর করে রানটা বাড়িয়ে নিচ্ছিল প্রোটিয়ারা। তাতে প্রথম আঘাত পেসার খালেদ আহমেদের। ৫২ রানে ভাঙে দ. আফ্রিকার ওপেনিং জুটি। লিটন দাসের গ্লাভস বন্দী হয়ে ফেরেন সেরেল এরউই (২৪)।
এরপর কিগান পিটারসেনের সঙ্গে ৮১ রানের জুটি গড়ে হ্যাটট্রিক ফিফটি উদযাপন করেন ওপেনার ডিন এলগার। সিরিজের প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসেও ফিফটি পেয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে প্রোটিয়া অধিনায়ককে বিদায় করে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফেরান তাইজুল। ৮৯ বলে ৭০ রান করেন এলগার।
দ্বিতীয় সেশনে তাইজুল ফেরান ফিফটির দেখা পাওয়া পিটারসেনকেও। রিভিউতে জয় হয় বাংলাদেশের। এলডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ব্যক্তিগত ৬৪ রানে বিদায় নেন পিটারসেন। তবে এরপর আরেকটি বড় জুটি গড়ে প্রোটিয়ারা।
দিনের প্রায় ১০ ওভার মতো বাকি থাকতে টেম্বা বাভুমা ও রিকেলটনের ৮৩ রানের জুটি ভাঙেন তাইজুল। ৮ রানের জন্য ফিফটি করতে পারেননি রিকেলটন। এরপর দিনের শেষ উইকেট হিসেবে মাটি কামড়ে পড়ে থাকা বাভুমাকে (৬৭) নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান খালেদ।
দ্বিতীয় সেশনে বৃষ্টির কারণে কিছু সময়ের জন্য ম্যাচটি বন্ধ থাকলেও প্রথম দিনে খেলা হয়েছে পুরো ৯০ ওভার। বাভুমাকে হারানোর পর দিনের শেষ ৩৩ বলে আর উইকেট পড়তে দেননি উইকেটরক্ষক কাইল ভেরেইনে (১০) ও উইয়ান মুলদার (০)।
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে দ. আফ্রিকা। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে হলে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট জিততে হবে বাংলাদেশকে। এই টেস্টের একাদশে ওপেনার শাদমান ইসলামের জায়গায় ফিরেছেন তামিম ইকবাল।