টাঙ্গাইলের গোপালপুরে সন্ত্রাসী হামলায় মির্জাপুর ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম লাঞ্ছিত হয়েছে। তার নাম হযরত মাওলানা মুফতি ফরহাদ বীন মাহবুব (৪০)। তিনি ঝাওয়াইল ইউনিয়নের সোনামুই গ্রামের মাহবুব হোসেনের ছেলে।
গত (১ মে শনিবার) সন্ধ্যায় মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদ মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। লাঞ্ছলার ঘটনায় গোপালপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ইমাম।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদ মসজিদে দুই বছর যাবত হযরত মাওলানা মুফতি ফরহাদ বীন মাহবুব ইমামতি করে আসছেন। সম্প্রতি জিয়া বাহিনীর প্রধান মৌখিক ভাবে ইমামতি করার নিষেধ করেন।
ইমাম সাহেব তার মৌখিক কথা কর্ণপাত না করে নামাজ পড়াতে গেলে উপজেলার খামার পাড়া গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে মো. জিয়া মেম্বার (৪৫), মো. আনোয়ার হোসেন (৩৫), একই এলাকার এরশাদের ছেলে আবু সাঈদ (৩৫), মোতালেবের ছেলে সেলিম মিয়া, এরশাদের ছেলে ইকবাল, মান্নানের ছেলে লোকমান ইমামকে কিল, ঘুষি লাথি মারতে থাকে এক পর্যায়ে ইমাম মাটিতে লুটিয়ে পরলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কোমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় অনেকেই জানান, সমাজে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা জিয়া বাহিনীর প্রতিদিনের কর্ম। তাদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। তারা আরো বলেন এই মসজিদের ইমামকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা নিয়োগ দিয়ে যান। এ কারনেই কাল হয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে এলাকাবাসীর ধারনা।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ইমাম বলেন, পূর্বের ইমামের কাছে টাকা খেয়ে জোরপুর্বকভাবে আমাকে সরানো পায়তারা করে আসছে এবং আমাকে নামাজ পড়ানোর জন্য নিষেধ করেন। আমি কথা না শুনায় জিয়া তার দলবল নিয়ে এসে সকল মুসুল্লিদের সামনে আমাকে মারপিট করে। আমি এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে গোপালপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. জিয়া জানান, ইমাম সাহেব আমাদের কথা শুনে না, উল্টাপাল্টা বয়ান করেন। এ কারনে তার সাথে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন জানান, ঘটনার বিষয়টি আমি জানি, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।