টাঙ্গাইলের বাইমাইলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নুরজাহান বেগম (৪০) নামের এক মহিলাকে কুপিয়ে জখমসহ তার বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
লিখিত অভিযোগপত্র ও ভুক্তভোগির বক্তব্যে জানা যায় মোঃ আতাউর রহমান শায়খ পিতা-মৃত আব্দুল গনি ফকির গ্রামঃ বাইমাইল, ডাকঘরঃ ধরেরবাড়ি থানা ও জেলাঃ টাঙ্গাইল বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে ভুক্তভোগীর স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৪০) গত সোমবার ০৩.০৪.২২ ইং তারিখ বিকাল অনুমান ৬ ঘটিকার সময় তার বাড়ির নিজ টিউবওয়েল থেকে ওযুর পানি উত্তোলনের সময় কিছুটা পানি গড়িয়ে বিবাদী শাহ আলমের জায়গায় পড়াতে বিবাদি ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় ভুক্তভোগী নুরজাহান বেগমকে গালিগালাজ করেন।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগী নূরজাহান বেগম প্রতিবাদ করলে ০১ নং আসামী শাহ আলম (২৭) টিউবওয়েলের টিনের বেড়ায় এলোপাতাড়িভাবে বাঁশের লাঠি দিয়া আঘাত করে ভাঙচুর করে ফেলে এবং ২ নং আসামী বাদশা মিয়া ধারালো দা নিয়ে বসত বাড়ির ভিতরে অনধিকার প্রবেশ করিয়া ভুক্তভোগী নূরজাহান বেগমের মাথায় আঘাত করিয়া গুরুতর জখম করে, এবং ঘরে তোষকের নিচে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা ও এক ভরি স্বর্ণের চেইন যাহার মূল্য ৭০ হাজার টাকা নিয়ে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় এবং সাথে থাকা ৫ নং বিবাদী হাসান মিয়া ভুক্তভোগির মেয়ে আকলিমা আক্তারকে চুলের মুঠি ধরে শ্লীলতাহানি ঘটায়। শুধু এসব করেই বিবাদীপক্ষ ক্ষান্ত হয়নি ভুক্তভোগী নুরজাহান বেগমকে হত্যা করিয়া লাশ গুম করার হুমকি প্রদান করে। এই মর্মে ভুক্তভোগীর স্বামী আবদুল গনি ফকির একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
ঘটনাটি পরবর্তীতে দ্রুত মীমাংসার জন্য এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আলোচনা করার জন্য থানায় আসিতে দেরি হয় বলে জানান। ভুক্তভোগীর পরিবার দ্রুত আসামিদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবি জানান।