টাঙ্গাইল শহরের দেওলা এলাকায় রিনা আক্তার মায়াকে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় স্বামী ওয়াহেদুল ইসলাম প্রান্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে আজ মঙ্গলবার (২৪ মে) দুপুরে তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করলে টাঙ্গাইল সদর আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামছুল আলম একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পরিদর্শক মো. তানভীর আহম্মেদ।
এ ঘটনায় নিহত কলেজছাত্রীর পিতা কালিহাতী উপজেলার মহেলা গ্রামের মো. হাবেল উদ্দিন বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, নিহতের বাবা হাবিল উদ্দিন জানান,গত দেড় বছর আগে শহরের বিশ্বাসসবেতকা মুন্সিপাড়া এলাকার সামাল খাঁনের ছেলে ওয়াহেদুল ইসলাম প্রান্ত’র সাথে রিনা আক্তার মায়ার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই স্বামী তাকে শাররিক ও মানুষিকভাবে নির্যাতন করত। এ কারনে ছাত্রীর বাবা হাবিল উদ্দিন মেয়ের জামাতা প্রান্তর বাবার কাছে অভিযোগ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রান্ত দেওলার ভাড়াটিয়া বাসায় যায়। বাসায় অন্যদের অনুুপস্থিতির সুযোগে কলেজছাত্রী রিনা আক্তার মায়ার উপর চড়াও হন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মায়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
পরে মায়ার মরদেহ গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখে ডাকচিৎকার করেন স্বামী । প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দিলে মরদেহ উদ্ধার করে এবং কলেজছাত্রীর স্বামী প্রান্তকে আটক করে আসামী প্রান্তকে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেন।