Tags: অর্থ-বাণিজ্য, অর্থনীতি, টাকা, বাংলাদেশ ব্যাংক
মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান একদিনে রেকর্ড পরিমাণ কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার (১৬ মে) আন্তঃব্যাংক বিনিময় হার প্রতি ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও ৮০ পয়সা কমিয়েছে।
ফলে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়িয়েছে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সায়, যা রবিবার ছিলো ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা। এটি একদিনে টাকার মান কমার হিসাবে সর্বোচ্চ রেকর্ড। এর আগে আর কখনোই এমনটা ঘটেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, অভ্যন্তরীণ বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাজার স্থিতিশীল করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আবারও টাকার অবমূল্যায়ন করেছে। এছাড়াও, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে সোমবার পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে প্রায় ৫.১ বিলিয়ন বিক্রি করেছে।
রেকর্ড ডলার বিক্রি
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের ১২ মে পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৫০২ কোটি (৫.০২ বিলিয়ন) ডলার বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত অর্থবছরে ডলার কেনায় রেকর্ড গড়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তথ্য বলছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে সবমিলিয়ে প্রায় ৮ বিলিয়ন (৮০০ কোটি) ডলার কেনে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৫ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার কিনেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
রিজার্ভের ওপর পড়ছে চাপ
এদিকে আমদানির চাপে ধারাবাহিকভাবে ডলার বিক্রি করায় বৈদেশিক মুদ্রার মজুতের (রিজার্ভ) ওপর চাপ বাড়ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ২৪ আগস্ট এই রিজার্ভ আগের সব রেকর্ড ভেঙে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছিল। দেশের ওই রিজার্ভ গত ১১ মে (বুধবার) ৪১.৯৩ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ১৯৩ কোটিতে নেমে এসেছে।
রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেড়েছে
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে রপ্তানি বেড়েছে ৩২ দশমিক ৯২ শতাংশ। অন্যদিকে আমদানি বেড়েছে ৪৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আলোচিত ৯ মাসে রপ্তানি থেকে দেশ আয় করেছে তিন হাজার ৬৬২ কোটি ডলার। পণ্য আমদানির পেছনে ব্যয় হয়েছে ৬ হাজার ১৫২ কোটি ডলার। আমদানি ব্যয় থেকে রপ্তানি আয় বাদ দিলে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়ায় দুই হাজার ৪৯০ কোটি ডলার।
রেমিট্যান্স
জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত দেশে ১ হাজার ৫৭৮ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে। যা ছিল আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ কম।