মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার নালী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে এক নারীর মোহরানার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। মোহরানা বাবদ ৭০ হাজার টাকা আদায় করে ওই নারীকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে বাকি ৪০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে মেম্বার। ঘটনা জানাজানি হলে টাকা ফেরত দিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করছে ওই ইউপি সদস্য।
জানা যায়, ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রিয়া (ছদ্মনাম) নামে ওই নারীর সঙ্গে হরিরামপুর উপজেলার মহাপুরা গ্রামের বশিরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি দুজনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। এরপর ওই নারী জানতে পারেন বশির বিবাহিত ও তার দুটি সন্তান আছে। বশিরের প্রথম স্ত্রীর অনুরোধে তাকে ডিভোর্স দিতে রাজি হয় প্রিয়া। গত ৮ মে তাদের ডিভোর্স হয়। এক লাখ টাকা মোহরানা ধার্য্য করা হলেও ৭০ হাজার টাকা দেওয়া হয় ভুক্তভোগী নারীকে। ওই নারীর অভিভাবক হিসেবে স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান ৭০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। কিন্তু মেম্বার ৪০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে মাত্র ৩০ হাজার টাকা দেয় ভুক্তভোগী নারীকে। পরে ওই নারী জানতে পারেন মোহরানা বাবদ তাকে ৭০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, ডিভোর্সের সময় আমার পরিবারের কাউকে রাখা হয়নি। আমার অভিভাবক হিসেবে হাবিব মেম্বার উপস্থিত ছিল। মোহরানার টাকা নেওয়ার সময় আমাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মেম্বার আমাকে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছে। পরে আমি জানতে পারি, মোহরানার বাবদ ৭০ হাজার টাকা নিয়েছে মেম্বার।
বশিরের প্রথম স্ত্রী বলেন, মোহরানা বাবদ হাবিব মেম্বারকে আমি ৭০ হাজার টাকা দিয়েছি। আমি আমার স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রীর হাতে টাকা দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু হাবিব মেম্বার আমাকে ধমক দিয়ে নিজে টাকা নিয়েছেন। এছাড়াও আমি কাজীকে দুই হাজার টাকা ও উকিলকে ৩ হাজার টাকা দিয়েছি।
তবে টাকা আত্মসাতের কথা অস্বীকার করেছেন ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, আমি ৩০ হাজার টাকা নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ওই নারীকে দিয়েছি। কিন্তু টাকা আত্মসাতের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর আজ বিকেলে টাকা ফেরত দিবেন সে।
নালী বাজার কমিটির সভাপতি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি আনিস উদ্দিন (মাস্টার) বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি তার জনগণের নিরাপত্তা দিবেন। কিন্তু নিরাপত্তার পরিবর্তে তিনি যদি জনগণের সম্পদ আত্মসাৎ করেন, এটা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।