Tags: কুড়িগ্রাম, ঝড়-বৃষ্টি, ভুরুঙ্গামারী
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ৫ ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ে দুই শতাধিক ঘর-বাড়ী, গাছ ও বোরো ধান ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বুধবার (১৮ মে) ভোর ৪ টার দিকে ভুরুঙ্গামারী সদর, পাইকেরছড়া, চর ভুরুঙ্গামারী, শিলখুড়িসহ বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় হঠাৎ বৃষ্টির সাথে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত শুরু হয়। ঘন্টাব্যাপী চলমান এ কালবৈশাখী ঝড়ে দুই শতাধিক বসতবাড়ি, গাছপালা, বোরো ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক স্থানে গাছ উপড়ে বৈদ্যুতিক তারের উপর পড়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি পরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। দূর্ভোগে রয়েছে কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।
উপজেলার পাইকেরছড়া গ্রামের মন্টু মিয়া জানান, ভোররাতে হঠাৎ পাইকেরছড়া গ্রামে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত শুরু হয়। ঝড়ে তার গ্রামের রব্বানী, আমিনুল ও জলিলের বসত ঘর ভেঙে পরাসহ বেশ কিছু বসতবাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও এলাকার কয়েকটি স্থানে গাছ বৈদ্যুতিক তারের উপর পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
পাইকেরছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য বজলুর রহমান বলেন, ভোররাত ৪ টার দিকে শুরু হওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে আমার ওয়ার্ডের ২০-২৫টি পরিবারের বসতবাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ঝড় ও বৃষ্টিতে অন্তত শতাধিক একর জমির পাকা বোরো ধান ক্ষেত হেলে পড়াসহ পানিতে তলিয়ে গেছে। ঝড়ে আমার বসতবাড়ির দুটি ঘরসহ গাছপালা ভেঙে পড়েছে।
উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের ধলডাঙ্গা বাজার এলাকার আব্দুল বাতেন জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে তার এলাকার বেশ কিছু বসতবাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়ে রয়েছে। শিলখুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ শামছুল হক জানান, ঝড়ে তার শালদোর গ্রামের বেশ কিছু ঘর-বাড়ী ক্ষতিগ্রস্তসহ গাছপালা উপড়ে পরেছে৷ এছাড়াও আনুমানিক ১শ-দেড়শ বিঘা জমির বোরো ধান ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে।
পাইকেরছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক সরকার বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে আমার ইউনিয়নের প্রায় ১শ পরিবারের বসতবাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও দেড়শ থেকে দুইশ একর জমির বোরো ধান ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। বিভিন্ন সড়কে গাছ উপড়ে পড়ায় সেগুলো কর্তন কাজ চলছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করতে লাইন মেরামতে কাজ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
চর ভুরুঙ্গামারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম ফজলুল হক জানান, ইউনিয়নের আনুমানিক ৫০টি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্তসহ গাছপালা ভেঙে পড়েছে। ভুরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপক কুমার দেব শর্মার সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।