Tags: চমক তারা, চিত্রনায়িকা চমক তারা, বিনোদন, মায়া হরিণ
সময়ের আলোচিত মডেল অভিনেত্রী চমক তারা। আসছে ঈদে তিনি তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল Chamok Tara’র জন্য নির্মাণ করেছেন “মায়া হরিণ” নামে নতুন একটি মিউজিক ভিডিও। এই প্রথম উচ্চাঙ্গ ধাঁচের কোন নৃত্যে কোরিওগ্রাফার প্রান্তিক দেব-কে সাথে নিয়ে দর্শকদের সামনে হাজির হবেন তিনি। নাচটির জন্য টানা বেশ কদিন কোরিওগ্রাফার প্রান্তিক দেব এর কাছে তালিম নিয়েছেন তিনি।
চমকতার সহশিল্পী প্রান্তিক দেব বলেন, “আমি মূলত একজন নৃত্য শিল্পী, নাচ নিয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়েছি ভারতের দিল্লীতে। আমার গুরুজী ছিলেন ওস্তাদ স্বপন মজুমদার। বাংলাদেশে নাচ শিখেছি আনিসুল ইসলাম হিরু স্যারের কাছে। বর্তমানে আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিষয়ে লেখাপড়া করছি।
চমক তারার কাস্টিং ডিরেক্টর সালমান শুভ চৌধুরী ভাই যখন আমাকে এমন ঘরানার একটি কাজের প্রস্তাব দেন তখন আমি গানের কথা শুনে নাচের থিম তৈরী করি ভরত নাট্যম ও উড়িষ্যার ছৌ মৌয়ুরী ভাঞ্চ এর ফিকশনের সাথে আধুনিক ঘারানার ধাঁচে। এর মাধ্যমে আমরা “হরিণ” কে দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করবো ভরতনাট্যম ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যকলা বিশেষ।
দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে এ নৃত্যকলার উৎপত্তি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ভরতনাট্যম সাধারণ নারীরা পরিবেশন করে যদিও পরম্পরাগত ভাবে, তবে এই নৃত্যের গুরু পুরুষ হয়। ভরতনাট্যম নৃত্য পূৰ্ণাঙ্গ রুপে পরিবেশন করতে প্ৰায় দুঘণ্টা সময় লাগে। আর ছৌ নাচ বা ছো নাচ বা ছ নাচ একপ্রকার ভারতীয় আদিবাসী যুদ্ধনৃত্য। এই নাচ ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড উড়িষ্যায় জনপ্রিয়। ছৌ নাচের আদি উৎপত্তিস্থল পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলা।
চমক তারা বলেন, আমি সব সময় চেষ্টা করি আমার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে দর্শকদের নতুন নতুন চমক উপহার দিতে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ঈদে আসছে “মায়া হরিণ”। এখানে দর্শকরা আমাকে নতুনরূপে দেখতে পাবেন। হরিন কে শিকার করতে এসে শিকারীই আমার ভালোবাসার জালে আটকে যায়! যে কারণে শুরুটাই হয়েছে এভাবে “আমি যে মায়া হরিন, তুই বোকা শিকারী/ মায়ার জালে ফেলবো তোকে করবো ভিখারি”। এর শুটিং টিমের প্রত্যেকটি সদস্য অনেক পরিশ্রম করেছেন।
আমি তাদের সবার কাছে কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে আমার সহ শিল্পী দেব এর কথা না বললে তার প্রতি অবিচার করা হবে। বেশ কয়েক দিন টানা মহড়া করে সে আমাকে নাচটি তুলে দিয়েছে। আমাদের সবার কষ্ট তখনই স্বার্থক হবে যখন দর্শকরা আমাদের এই “মায়া হরিন” দেখে তৃপ্তি পাবেন।”