Tags: ট্রেন, ট্রেনের টিকিট
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই টিকিট বিক্রি চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। গত ১৩ এপ্রিল এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করলেও ৩ মে ঈদ ধরে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। বিড়ম্বনা রোধে রাজধানীর কমলাপুরসহ নগরীর পাঁচটি স্টেশনে বিক্রি হবে টিকিট। আজ দেওয়া হচ্ছে ৩৭টি ট্রেনের ২৬ হাজার ৭০০ টিকিট। এরমধ্যে স্টেশন থেকে অর্ধেক, বাকিটা অনলাইনে। তবে সার্ভার জটিলতার অভিযোগ করে যাত্রীরা চাইছেন ভোগান্তির অবসান।
যে ৫ স্টেশনে ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
যে ৫টি স্টেশনে টিকিট বিক্রি করা হবে সেগুলো হচ্ছে, কমলাপুর রেল স্টেশন, তেজগাঁও স্টেশন, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন, ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশন ও ফুলবাড়িয়া (পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন)।
জানা গেছে, ঈদের সম্ভাব্য দিন আগামী ৩ মে ধরে অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছে আজ। সে হিসাবে আজ (২৩ এপ্রিল) দেওয়া হচ্ছে ২৭ এপ্রিলের টিকিট, ২৪ এপ্রিল দেওয়া হবে ২৮ এপ্রিলের টিকিট, ২৫ এপ্রিল দেওয়া হবে ২৯ এপ্রিলের টিকিট, ২৬ এপ্রিল দেওয়া হবে ৩০ এপ্রিলের টিকিট এবং ২৭ এপ্রিল দেওয়া হবে ১ মের টিকিট। আর ৩ মে ঈদ হলে ২৮ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ২ মের ট্রেনের টিকিট।
এদিকে, রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে ছয়টি বিশেষ ট্রেন চালু করা হবে। সেগুলো হচ্ছে চাঁদপুর স্পেশাল দুই জোড়া, দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল এক জোড়া, শোলাকিয়া স্পেশাল দুই জোড়া, খুলনা স্পেশাল এক জোড়া। তবে এসব ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে না।
অনলাইনে ই-টিকিটিংয়ের মাধ্যমে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি সকাল ৮টায় শুরু হবে। এ ছাড়া কাউন্টারে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এক টানা অগ্রিম টিকিট বিক্রি চলবে। প্রতিটি টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রে একটি করে নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কাউন্টার থাকবে। একজন যাত্রী একসঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন।
বিক্রি করা ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট ফেরত নেওয়া হবে না। স্পেশাল ট্রেনের কোনো টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে না। শুধু স্টেশন কাউন্টারে বিক্রি করা হবে।
৬ জোড়া বিশেষ ট্রেন
ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য ছয় জোড়া বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর মধ্যে চাঁদপুর স্পেশাল-১ ও চাঁদপুর স্পেশাল-২ ট্রেন দুটি চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে ১ মে এবং ঈদের পর ৪ মে থেকে ৮ মে পর্যন্ত চলাচল করবে। এ ছাড়া ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রুটে দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল একই সময়ে চলাচল করবে।
ঢাকা-খুলনা রুটে খুলনা স্পেশাল ট্রেনটি বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেসের অতিরিক্ত রেক দিয়ে চলাচল করবে ২৯ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত। এ ছাড়া ঈদের দিন ভৈরব বজার ও কিশোরগঞ্জ রুটে শোলাকিয়ায় স্পেশাল-১ এবং ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রুটে শোলাকিয়ায় স্পেশাল-২ চলাচল করবে।
রেলমন্ত্রী নূরল ইসলাম সুজন জানান, ঈদের সাত দিন আগে অর্থাৎ ২৫ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত আন্তনগর ট্রেনগুলোর ডে অফ থাকবে না। ঈদের পর ডে অফ কার্যকর করা হবে। ডে অফ প্রত্যাহারের ফলে অতিরিক্ত ৯২টি আন্তনগর ট্রেন বিশেষভাবে পরিচালনা হবে। ঈদের দিন কোনো আন্তনগর ট্রেন চলাচল করবে না।
ঈদের পর ৫ মে যারা ঢাকায় ফিরবেন, তাদের জন্য ১ মে, ৬ মের জন্য ২ মে, ৭ মের জন্য ৩ মে এবং ৮ মের জন্য ৪ মে টিকিট বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এই অগ্রিম টিকিট বিক্রি ২, ৩ ও ৪ মে চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে হবে। সে ক্ষেত্রে ১ মে সন্ধ্যার পর নেয়া সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে টিকিট বিক্রি হবে।